গলায় মাছের কাঁটা বিঁধলে কি করবেন?
খেতে বসে গলায় মাছের কাঁটা ফোটেনি এমন মানুষ নেই বললেই চলে। অনেক সময় তাড়াহুড়ো করে খাবার খেতে গেলে গলায় মাছের কাঁটা ফুটে যাই। অথবা খাবার খাওয়ার সময় অন্যমনস্ক থাকলে যেমন মোবাইল কিংবা টিভিতে মন থাকলে মাছের কাটা তো ফুটবেই।
অনেকে আছে খেতে বসে অনেক কথা বলেন। আবার খুব তাড়াহুড়ো করে খান। এর ফলে অসাবধানতাতেই মাছের কাঁটা গলায় ফুটে যায়। আর তারপরই শুরু হয় যত বিপত্তি। গলায় মাছের কাঁটা বিঁধলে অসম্ভব অস্তস্তি শুরু হয়। খচখচ করে কাঁটা।
আসুন তবে জেনে নিই, গলায় মাছের কাঁটা বিঁধলে তা নামানোর জন্য যা যা করবেন –
সাদা ভাত:
ভাত কে হাতের মুঠে চেপে বলের মতো বানিয়ে তা না চিবিয়ে, ধীরে ধীরে গিলে ফেলার চেষ্টা করুন। এতে আঠালো ভাত আটকে থাকা মাছের কাটাকে নিয়ে নীচে নেমে যায়। এ পদ্ধতি দু’তিনবার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
পাঁকা কলা:
এক কামড় পাঁকা কলা মুখের ভিতর নিয়ে চিবাতে থাকুন আঠালো না হওয়া পর্যন্ত। আঠালো হয়ে গেলে গেলার চেষ্টা ককরুন। এতে মাছের কাটা কলার অংশের সাথে আটকে যাওয়া নেমে যাবে।
অলিভ অয়েল:
অলিভ অয়েল একটি প্রাকৃতিক পিছল পদার্থ। আর অলিভ অয়েল কাঁচা খেলেও ক্ষতি নেই। তাই বাড়িতে যদি অলিভ অয়েল থাকে তৎক্ষণাৎ খেয়ে নিন ১ চামচ। কাঁটা পিছলে গলা থেকে নেমে যাবে।
পাতিলেবু:
কাঁটা গলিয়ে দেয়ার জন্য এই পদ্ধতি বেশ কার্যকর। মাছের কাঁটা নিমেষে নরম করে তুলতে পারে পাতিলেবু। তাই গলায় কাঁটা ফুটলে আগে একটা লেবু কাটুন। নুনে মাখিয়ে রস খেয়ে নিন। কাঁটা নরম হয়ে নেমে যাবে গলা থেকে।
পানি:
গলায় মাছের কাঁটা আটকে গেলে পানি পান করুন। পারলে হালকা গরম পানির সঙ্গে সামান্য পরিমাণ লবণ মিশিয়ে পান করুন। এতে গলায় আটকা মাছের কাঁটা নরম হয়ে নেমে যায়।
ভিনেগার:
ভিনেগার খুব অ্যাসিডযুক্ত। ভিনেগার মাছের কাঁটা নরম করতে এবং গিলতে সহায়তা করে। এক কাপ পানিতে ২ টেবিল চামচ ভিনেগার মিশিয়ে পান করুন।
কাশি দিন:
কাশি দিন। গলায় মাছের কাঁটা বিঁধলে অনেক সময় জোরে কাশি দিলে কাঁটা বেরিয়ে আসে।
লবণ পানি:
এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে এক চিমটি লবণ যোগ করুন। কাঁটা নরম করতে খুবই কার্যকর হল লবণ পানি। তারপর লবণ পানি খেলে কাঁটা নরম হয়ে গলা থেকে নেমে যাবে। প্রয়োজনে লবণ জলে গার্গলও করতে পারেন।
রুটি:
রুটিতেও অনেক সময় ভালো কাজ হয়। রুটি চিবিয়ে না খেয়ে গিলে ফেলুন। কিংবা রুটি চটকে নিয়ে মন্ডও করতে পারেন। এরপর ওই মন্ড একবারে গিলে নিলেও ফল পাবেন।
ঠাণ্ডা পানীয়:
কয়েক বছর ধরে গলাতে আটকে থাকা খাবারের চিকিৎসায় ঠাণ্ডা পানীয় অর্থাৎ সোডা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাই গলায় মাছের কাঁটা বিঁধলে কোন ঠাণ্ডা পানীয় খেয়ে নিন। কাঁটা নরম হয়ে নেমে যাবে।
মনে রাখবেন, খাবার সময় মাছের কাটা ধৈর্য নিয়ে বেছে বেছে খেতে হবে। বাচ্চাদের এবং বয়স্কদের খাবারের সময় মাছের কাঁটা বেছে দিতে হবে। খাবারের সময় গল্পগুজব, ঠাট্টা তামাসা, হৈ-হুল্লোড় করা মোটেই ঠিক নয়।