গর্ভাবস্থায় ডালিম খাওয়ার উপকারিতা।
গর্ভাবস্থায় ফল ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় যাতে গর্ভবতী মহিলারা সঠিক পুষ্টি পান। পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ একটি সুস্থ্য সবল বাচ্চার জন্ম দিতে পারে।
আজ আমরা এরকম একটি পুষ্টিকর ফল ডালিম বা বেদনা সম্পর্কে আলোচনা করবো। এই ফলটি গর্ভাবস্তায় গর্ভবতী মায়ের জন্য খুব দরকারি।
ভিটামিন “সি” ছাড়াও ডালিমে ফলিক অ্যাসিড, পটাসিয়াম, ফাইবার, নিয়াসিন, ভিটামিন “ই”, এবং ভিটামিন “এ” অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। জাম এবং আঙ্গুরের মতো অন্যান্য ফলের সাথে তুলনা করলে ডালিমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি।
ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষণা অনুসারে, গর্ভাবস্থায় ডালিম খাওয়া গর্ভের শিশুর কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা রোধ করতে পারে।
গর্ভাবস্তায় ডালিম খাওয়ার উপকারিতা:
নিচে গর্ভাবস্তায় ডালিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো –
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে:
গর্ভাবস্তায় গর্ভবতী মায়েদের জন্য ডালিম খুবই উপকারী একটি ফল। ডালিম স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।
এক গবেষণায় ২৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে প্রতিদিন ডালিম খাওয়ানোর ফলে তাদের মৌখিক ও ভিজ্যুয়াল স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই গর্ভাবস্থায় ডালিম খেলে গর্ভের বাচ্চার স্মৃতিশক্তি প্রখর হবে।
হিমোগ্লোবিন বাড়ায়:
গর্ভবতী মায়েদের জন্য আয়রন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান। এই সময় হবু মায়েদের বাড়তি আয়রনের প্রয়োজন পরে।
ডালিমে আয়রন থাকায় ডালিম রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে দেহে রক্ত চলাচল সচল রাখে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, প্রতিদিন মাঝারি আকৃতির একটি ডালিম খাওয়ার চেষ্টা করুন। অথবা এক গ্লাস ডালিমের রস খান।
রক্তচাপ কমায়:
অনেক সময় গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হয়ে থাকে। উচ্চ রক্তচাপ হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের অন্যতম কারণ।
একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, হাইপারটেনশনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতিদিন দুই সপ্তাহ ধরে ডালিমের রস খাওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপ কমেছিল। তাই গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিন একটি ডালিম খাওয়া ভালো।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
এই সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া খুবই দরকার। ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী গুণাগুণ আছে ডালিমে। শরীরের ক্ষতিকর ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়ার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ডালিম।
এছাড়া ডালিমে ভিটামিন “সি” আছে। ভিটামিন “সি” আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী করে তোলে।
পাচন তন্ত্রকে স্বাস্থ্যকর রাখে:
ডালিম ফাইবারের একটি ভাল উৎস। কোষ্ঠকাঠিণ্য এবং অন্যান্য হজম জনিত সমস্যাগুলিকে দূরে রাখার জন্য ফাইবার সমৃদ্ধ শাক-সবজি এবং ফল-মূল খাওয়ার সুপারিশ করা হয়। কোষ্ঠকাঠিণ্য এবং অন্যান্য হজম জনিত সমস্যা গর্ভাবস্থায় একটি সাধারণ সমস্যা।