গর্ভবতী মায়েদের জন্য ড্রাগন ফল।
ড্রাগন ফলে প্রচুর ভিটামিন “সি” রয়েছে ফলে এটি গর্ভবতী মায়েদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়া পিচ্ছিল হওয়ায় ও ফাইবার থাকার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়। ড্রাগন ফলের কালো বীজ হজমে সাহায্য করে।
এছাড়া আয়রন থাকার কারণে গর্ভবতী মায়েরা ড্রাগন ফল খেলে রক্তশূন্যতা দূর হয়।
নিচে গর্ভবতী মায়েদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা দেওয়া হলো –
আয়রনের উৎস:
ড্রাগন ফলটিতে প্রতি ২২৭ গ্রামে ৮% আয়রন থাকে। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের জন্য আয়রনের প্রয়োজন বেশি হয়।
এছাড়াও ড্রাগন ফলে ভিটামিন “সি” রয়েছে যা শরীরকে আয়রন শোষণে সহায়তা করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে:
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খাদ্যাভাসের ও লাইফস্টাইলের উপর নির্ভর করে। ড্রাগন ফল গর্ভবতী মায়েদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
কারণ ড্রাগন ফ্রুটে ভিটামিন “সি” এবং ক্যারোটিনয়েড রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। এটি শ্বেত রক্তকণাকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে সংক্রমণ রোধ করতে পারে।
তাই গর্ভবতী মায়েদের জন্য ড্রাগন ফল উপকারী একটি ফল।
ম্যাগনেসিয়ামের ভাল উৎস:
ম্যাগনেসিয়াম প্রতিটি কোষে উপস্থিত থাকে এবং আমাদের দেহের মধ্যে ৬০০ টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশ নেয়।
যেমন, খাদ্যকে ভেঙে শক্তিতে রূপান্তরিত করে, পেশী সংকোচন, হাড়ের গঠন এবং ডিএনএ (DNA) তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বিক্রিয়া গুলিতে অংশ নেয়।
কিছু গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে, ম্যাগনেসিয়ামের বেশি পরিমাণে গ্রহণের ফলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
ফাইবারের উৎস:
গর্ভাবস্থায় ফাইবার খুবই গুরত্বপূর্ন। কারণ এই সময় একটু কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। ড্রাগন ফল ডায়েট্রি ফাইবারের একটি ভালো উৎস।
এক কাপ ড্রাগন ফলে ৭ গ্রাম ফাইবার থাকে। যা প্রতিদিনের ফাইবারের চাহিদার প্রায় অর্ধেকটা পূরণ করতে পারে।
তাই গর্ভাবস্থায় হজম স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে, হার্টের রোগ থেকে রক্ষা করতে, টাইপ-2 ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমাতে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাদ্য তালিকায় থাকা খুবই দরকার।
জন্মগত ত্রুটিগুলি রোধ করে:
শিশুর স্নায়ুর বিকাশ কোনওরকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই অব্যাহত থাকে।
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ফোলেটের সাথে সমন্বিত হয়ে, শিশুর নিউরাল টিউবের পাশাপাশি তার স্নায়ু তন্ত্রের বিকাশের ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।