কোন খাবারগুলো দ্রুত পচে না।

খাবার-দাবার বেশি দিন রাখতে গেলেই চলে আসে দুশ্চিন্তা যে নষ্ট হয়ে যাবে না তো? তবে এমন কিছু খাবার আছে যা অনায়াসে সারা বছর নিশ্চিন্তে রেখে দিতে পারেন৷

চলুন দেখে নিন, সে খাবার গুলো কী কী?

চাল ডাল:

সাদা চাল অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে। তবে সেটা এয়ার টাইট কৌটোয় ভরে রাখতে হবে। যদি ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রার নীচে রাখা হয় তা হলে আরও ভালো। তবে সাদা চালের জায়গায় খয়েরি চাল হলে তা ৬ মাসের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যাবে। ডাল ও অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।

মধু:

মধু নষ্ট হয় না বললেই চলে। সোনালী বা গাঢ় বাদামী রঙের ঘন তরলটিতে জীবন রক্ষাকারী সকল প্রয়োজনীয় উপাদান বিদ্যমান। মধু এমন একটা খাদ্য যেটা সহজে নষ্ট হয় না এবং ফ্রিজেও রাখা লাগে না।

লবণ:

লবণ পুরোটাই প্রকৃতির দান। নিজে তো নষ্ট হয়ই না, উল্টে অনেক জিনিসপত্র ভালো রাখতে কয়েক হাজার বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে লবণ। যেমন ইলিশ মাছে লবণ মাখিয়ে রাখলে ইলিশ মাছ নষ্ট হয় না।

সয়া সস:

না খোলা বোতল প্রায় নষ্ট হয় না বললেই চলে। ফ্রিজে রাখলে আরও ভালো। তবে আসল না নকল সে দায় আপনাকেই নিতে হবে।

চিনি:

লবণের মতো চিনিও দীর্ঘ দিন ভালো থাকতে পারে। গুঁড়ো করে এয়ার টাইট পাত্রে ভরে রাখলে সেটা আরও বেশি দিন ভালো থাকে। তবে একবার নরম হয়ে গেলে সেটা ভালো রাখা মুশকিল।

শুকনো বাদাম ও শুকিয়ে রাখা শিমের বীজ:

চালের সঙ্গে সঙ্গে বিনস নিয়েও গবেষণা করার সময় বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখেছেন প্রায় ৩০ বছর পরেও শুকিয়ে রাখা বিনসের গুণগত মান প্রায় একই রকম রয়েছে। এছাড়া শুকনো বাদাম একটি অক্সিজেনমুক্ত স্থানে রাখতে পারলে অনেক দিন পর্যন্ত ঠিক থাকতে পারে৷

গুঁড়ো দুধ:

এমনি দুধ রাখা না গেলও গুঁড়ো দুধ কৌটোর মধ্যে ভরে দীর্ঘ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই এয়ার টাইট পাত্রে রাখতে হবে।