কিভাবে চাকরির ইন্টারভিউতে ভালো করা যায়।
চাকরির ইন্টারভিউতে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করাটা ভীষন জরুরি। এখন প্রায় সব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পদ্ধতি দ্রুত বদলাচ্ছে কিন্তু যেকোন চাকরির জন্য মুখোমুখি ইন্টারভিউ এখনও একটি বড় বিষয়।
নিয়োগকর্তারা মনে করেন যেকোন চাকরির ক্ষেত্রে ইন্টরভিউ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকখানি নির্ভর করে ইন্টাভিউতে আপনি কতটা ভালো করেন তার উপর। তবে অধিকাংশ মানুষ উপযুক্ত দিকনির্দেশনা না পাওয়ায় নির্বাচকদের সামনে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়।
চাকরির ইন্টারভিউয়ে যা যা করা উচিৎ:
চাকরির ইন্টারভিউয়ে যা যা করা উচিৎ সেগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি আলোচনা নিচে আলোচনা করা হলো –
প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ধারনা:
আপনি যে প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউ দিবেন সে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সঠিক ধারনা থাকতে হবে । প্রায়ই নির্বাচকরা তাদের কম্পানি সম্পর্কে প্রার্থীদের মতামত জানতে চান তাই যে কোম্পানি বা ইন্ডাস্ট্রিতে ইন্টাভিউ দিতে যাচ্ছেন সেই কোম্পানি বা ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে আগে থেকে জেনে রাখা ভালো। সেক্ষেত্রে কোম্পানির ওয়েভ সাইট থেকে তথ্য নিতে পারেন।
পোস্ট সম্পর্কে ধারনা:
আপনি যে পোস্টের জন্য আবেদন করছেন সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা থাকতে হবে। আপনি যে পোস্টের জন্য আবেদন করছেন তা সম্পর্কে আপনাকে প্রশ্ন করা হতে পারে। তাই পোস্টটি সম্পর্কিত তথ্য এবং আপনি কেন নিজেকে এই পোস্টের জন্য উপযুক্ত মনে করেন সে বিষয়ে একটি উত্তর ঠিক করে রাখবেন।
প্রোয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে রাখা:
আপনার সকল শিক্ষ্যাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুছিয়ে নিজের সাথে রাখতে হবে। আপনার শিক্ষ্যাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট গুলো ইন্টারভিউ বোর্ডের সদস্যরা দেখতে চাইতে পারে তাই এগুলো সাথে রাখা উচিৎ।
যথাযথ পোশাক পরা:
বাহ্যিকভাবে আপনার পোশাকের দিকে নজর থাকবে ইন্টারভিউ বোর্ডের সদস্যদের । পোশাকের মাধ্যমে আপনার রুচিশীলতার প্রমান পাবেন তারা। তাই সঠিক পোষাক পরাটা ইন্টারভিউ বোর্ডে খুব দরকার।
মার্জিত ভাবে প্রবেশ করা:
ইন্টারভিউ বোর্ডে মার্জিত ভাবে প্রবেশ করতে হবে। ইন্টারভিউ বোর্ডের সদস্যরা যেন বিরক্ত না হন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
মার্জিত ভাষায় কথা বলা:
ইন্টারভিউ বোর্ডে মার্জিত এবং বিনয়ী ভাবে কথা বলা উচিৎ। আপনার কথা স্পষ্ট হতে হবে এবং সবাই যেন সঠিক ভাবে বুঝতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আত্মবিশ্বাসী থাকা:
ইন্টারভিউ বোর্ডে আত্মবিশ্বাসী থাকাটা খুব প্রোয়োজন। ইন্টারভিউ বোর্ডের সদস্যদের সামনে আপনার আত্মবিশ্বাসী মনোভাব দেখানো উচিৎ।
অনুমতি নিয়ে কাজ করা:
ইন্টারভিউ বোর্ডে কোনো কিছু করার আগে ইন্টারভিউ বোর্ডের সদস্যদের অনুমতি নিতে হবে।
প্রশ্নের উত্তর সঠিক ভাবে দেওয়া:
আপনাকে কোনো প্রশ্ন করা হলে তার উত্তর সঠিক ভাবে তাদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। এজন্য ইন্টারভিউতে যওয়ার আগে যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে উচিৎ।
ধন্যবাদ জানানো:
ইন্টারভিউ শেষে সদস্যদের ধন্যবাদ জানানো উচিৎ।
ইন্টারভিউয়ে যা যা করা উচিৎ নয়:
চাকরির ইন্টারভিউয়ে যা যা করা উচিৎ নয় সেগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি আলোচনা নিচে আলোচনা করা হলো –
দেরিতে উপস্থিত হওয়া:
নির্ধারিত সময়ের আগে ইন্টারভিউয়ের জন্য নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত হতে হবে। ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রবেশ করতে দেরি হলে নিয়োগদাতাদের মনে আপনার সময় নিষ্ঠা নিয়ে নেতিবাচক ধারনা তৈরি হবে।
প্রোয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে না রাখা:
প্রোয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে রাখলে ইন্টারভিউয়ের সদস্যরা আপনার ওপর বিরক্ত হতে পারে।
ভুল উত্তর দেওয়া:
কোনো প্রশ্নের উত্তর না জেনে ভুল উত্তর দেওয়া ঠিক নয়। প্রয়োজনে বলা যে এই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই।
অযথা কথা বলা:
অযথা কথা বললে ইন্টারভিউয়ের সদস্যরা আপনার ওপর বিরক্ত হতে পারে।
কোনো বিষয়ে তর্ক করা:
ইন্টারভিউয়ের সদস্যদের সাথে কোনো বিষয়ে তর্ক করা উচিৎ নয়।
আগের চাকরি সর্ম্পকে নিন্দা করা:
আপনি যদি আগে চাকরি করে থাকেন তাহলে আগের চাকরি সর্ম্পকে নিন্দা করা উচিৎ নয়। চাকরি ছাড়া বা ছাড়তে চাওয়ার যুক্তি সঙ্গত কারন উল্লেখ করুন।