করোনাভাইরাস চিকিৎসায় ঔষুধ রিমডেসিভির কতটা কার্যকরী।
রিমডেসিভির কি?
অ্যান্টিভাইরাল ঔষুধ রিমডেসিভির একটি নিউক্লিওটাইড অ্যানালগ। এটাকে বলা হয় “ফেক বা নকল” নিউক্লিওসাইড। তার মানে ভাইরাসের বংশ বৃদ্ধির জন্য যে নিউক্লিওসাইড দরকার সেটির পরিবর্তে “ফেক বা নকল” নিউক্লিওসাইড দেয়া হচ্ছে। আসল নিউক্লিওসাইড না পাওয়ার ফলে ভাইরাস আর বংশ বৃদ্ধি করতে পারছে না।
কখন রিমডেসিভির অনুমোদন দেওয়া হয়?
গত ১লা মে, ২০২০ আমেরিকান ফুড এন্ড ড্রাগ (FDA) গুরুতর কোভিড-১৯ (COVID-19) রোগীদের (প্রাপ্ত বয়স্ক এবং শিশুদের ক্ষেত্রে) জরুরিভাবে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।
রিমডেসিভির কি আগে ব্যবহার করা হয়েছিল?
রিমডেসিভির ইবোলা ভাইরাস সংক্রমণের জন্য ক্লিনিকাল পরীক্ষায় ব্যবহার করা হয়েছিল এবং সে পরীক্ষার এটির কার্যকারীতার সামান্য প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে রিমডেসিভির শ্বাসতন্ত্রের সিন্ড্রোম করোনভাইরাস (SARS-CoV or MERS-CoV) এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধক হিসাবে দেখা গিয়েছে।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ব্যবহৃত ঔষুধ রিমডেসিভির কোভিড-১৯ (COVID-19) চিকিৎসায় আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া যায়।
রিমডেসিভির ঔষুধের কার্যকারীতা:
COVID-19 এ আক্রান্ত রোগীদের উপর রিমডেসিভির প্রয়োগ করে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়। বিশ্লেষণে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত এবং ফুসফুসের সমস্যায় আক্রান্ত ১,০৬৩ হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। বিশ্লেষণটিতে দেখা যায় যে যারা রিমডেসিভির ঔষুধ গ্রহণ করেছে তারা দ্রুত আরোগ্য লাভ করেছে, একই ধরণের রোগীদের তুলনায় যারা প্লাসবো (অ্যান্টিভাইরাল) ঔষুধ গ্রহণ করেছিল।
জাপান সরকারের অনুমোদন:
জাপান সরকারও রিমডেসিভির ঔষুধ ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে কোভিড-১৯ (COVID-19) চিকিৎসায়। গত ৭ মে জাপান সরকার কেবলমাত্র গুরুতর কোভিড-১৯ (COVID-19) রোগী যারা কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে বেঁচে আছে সেসব করোনা রোগীদের চিকিৎসায় রেমডেসিভির-এর অনুমোদন দিয়েছে।