কম্পিউটারের ভাইরাস কাকে বলে? ভাইরাস কত প্রকার ও কি কি?
কম্পিউটারের ভাইরাস কাকে বলে?
VIRUS এর পূর্ণরূপ হল- Vital Information and Resources Under Siege. ১৯৮৩ সালে ফ্রেড কোহেন কম্পিউটার ভাইরাসের নামকরণ করেন। কম্পিউটার ভাইরাস হলো এক ধরনের সফটওয়্যার যা তথ্য ও উপাত্তকে আক্রমন করে এবং নিজের সংখ্যা বৃদ্ধি করে।
কম্পিউটার ভাইরাস এমন এক ধরনের ফাইল বা প্রোগ্রাম যেগুলো কম্পিউটারের স্বাভাবিক ফাইল বা প্রোগ্রামকে নষ্ট করে দিতে পারে। ভাইরাস ব্যবহারকারীর অনুমতি ব্যতীত নিজেরা নিজেদের কপি তৈরি করতে পারে। সাধারণত সিডি, পেনড্রাইভ ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভাইরাস এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ছড়িয়ে পড়ে।
ভাইরাস কত প্রকার ও কি কি?
কম্পিউটার ভাইরাস বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিত বা কমন ভাইরাসগুলি হলোঃ
রেসিডেন্ট ভাইরাস (Resident virus):
রেসিডেন্ট ভাইরাস এমন একটি computer virus যা র্যাম মেমরিতে নিজেকে সঞ্চয় করে এবং অন্যান্য file, program গুলিকে infect করে দেয়। এই virus টি অনেকগুলি কাজ করার ক্ষমতা আছে। Resident virus গুলির সর্বাধিক জনপ্রিয় উদাহরণগুলি হ’ল সিএমজে, মেভ, ম্রক্লুঙ্কি এবং র্যান্ডেক্স।
ম্যালওয়্যার (Malware):
এই ধরণের সিস্টেম ভাইরাস বানানো হয় আপনার কম্পিউটারকে damaged (ক্ষতিগ্রস্ত) করার জন্য এবং কম্পিউটারে ভাইরাস ছড়ানোর জন্য। এগুলি বেশিরভার, অন্য কম্পিউটার থেকে ফাইল কপি করার সময় এবং infected usb device ব্যবহার করার সময় আপনার সিস্টেমে ছড়ায়।
মাল্টিপার্টাইট ভাইরাস (Multipartite Virus):
মাল্টিপার্টাইট বা বহুদলীয় ভাইরাসটি পুরো সিস্টেমকে সংক্রমিত করে। ব্যবহারকারীর অনুমতিবিহীন কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে এটি অপারেটিং সিস্টেম, ফোল্ডার ও প্রোগ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া এটি executable files এবং boot sector কে একসাথে infect করে থাকে।
ডাইরেক্ট এ্যাকশন ভাইরাস (Direct Action Virus):
এটি Malware ওয়েবসাইট থেকে কোন ফাইল ডাউনলোড করবার সময় সেই ফাইল এর মধ্যে থেকে কম্পিউটারে প্রবেশ করে। তবে এই ধরনের ভাইরাস শুধুমাত্র কম্পিউটারের নির্দিষ্ট ফাইলকেই interect করতে পারে। এটি কম্পিউটার ইউজার এক্সপেরিয়েন্স এবং অপারেটিং সিস্টেমের উপর প্রভাব ফেলতে পারে না।
ব্রাউজার হাইজাকার (Browser Hijacker):
ব্রাউজার হাইজ্যাকিং বা হাইজাকার হলো একটি অযাচিত সফট্ওয়্যার যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ব্যতীত ব্যবহারকারীর ব্রাউজারে অযাচিত বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য কোনো ওয়েব ব্রাউজারের সেটিংসকে পরিবর্তিত করে।
এছাড়া এই ধরনের ভাইরাস ওয়েব ব্রাউজারকে সংক্রমিত করে, ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন অনাকাঙ্খিত ওয়েবসাইটে নিয়ে যায়। এই ভাইরাস সহজেই সনাক্ত করা যায়।
ওভাররাইড ভাইরাস (Overwrite Virus):
এই ধরনের ভাইরাস কম্পিউটারে প্রবেশ করলে সমস্ত ফাইল, অটোমেটিক একে একে ডিলিট হয়ে যেতে শুরু করে। এইজন্য ইউজারকে সমস্ত infected files গুলি ডিলিট করে দিতে হয়।
নির্দিষ্ট কম্পিউটারের data loss করবার জন্য এই ধরনের ভাইরাস প্রবেশ করানো হয় এবং এই ধরনের বাইরে সাধারণত ইমেইল এর দ্বারা পাঠানো হয়ে থাকে।
ফাইল ইনফেক্টর ভাইরাস (File Infector Virus):
এই ধরনের ভাইরাস নির্দিষ্ট ফাইলের মধ্যে থাকে। কোন নির্দিষ্ট ফাইল তৈরি করার সময় প্রোগ্রামাররা এই ধরনের ভাইরাস তৈরি করে সেই ফাইলের মধ্যে রেখে দেয় এবং কম্পিউটারে পার্টিকুলার প্রোগ্রাম বা ফাইল Run করবার সময়, ওই ফাইলে থাকা ভাইরাসটিও কম্পিউটারে install হয়ে যায়।
বুট সেক্টর ভাইরাস (Boot Sector Virus):
এই ধরনের ভাইরাস removable media যেমন USB, CD, Pen Drive এর মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। এই ধরনের ভাইরাস কম্পিউটার থেকে ডিলিট করা খুবই কঠিন কাজ।
এই জন্য এই ধরনের ভাইরাস কম্পিউটার থেকে দূর করার জন্য পুরো কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম কে ফরমেট করার প্রয়োজন পড়ে। কোন রিমুভাল মিডিয়া থেকে কম্পিউটারে বুট করার সময়, এই ধরনের ভাইরাস কম্পিউটারে প্রবেশ করে।
- https://www.proofpoint.com/us/threat-reference/computer-virus?fbclid=IwAR3x_kUTLrMD4C95-9lLQfunjlNV4lRO3ckyMOCLb3bLHgP1_Q-wRIqnMDw
- https://economictimes.indiatimes.com/definition/computer-virus?fbclid=IwAR0ilgwopUrKY8Ne8M6y6ULC-IVSLQm57quittFnWAavmAV-EunadRquKR4
- https://us.norton.com/internetsecurity-malware-what-is-a-computer-virus.html?fbclid=IwAR3Kp9EKd6Lkb0-Ovbm31KVf_iXXPfMnyS5BR6dgIiW6OU6MHG0Sxg5a0NA