কমিউনিকেশন সিস্টেম কাকে বলে? কমিউনিকেশন সিস্টেম কত প্রকার ও কী কী?
কমিউনিকেশন সিস্টেম কাকে বলে?
কমিউনিকেশন শব্দটি ল্যাটিন শব্দ “Communicare” থেকে এসেছে যার অর্থ “to Share” (আদান-প্রদান) করা। কমিউনিকেশন শব্দটির অর্থ হল যােগাযােগ। যে পদ্ধতির মাধ্যমে যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তথ্য, ভিডিও আদান-প্রদান করা হয়, তাকে কমিউনিকেশন সিস্টেম বলে।
অন্যভাবে বললে বলা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা এমন একটি ব্যবস্থা যা দুটি বিন্দুর মধ্যে তথ্য বিনিময়কে বর্ণনা করে। তথ্য আদান-প্রদান ও গ্রহণের প্রক্রিয়াকে যোগাযোগ বলে। যোগাযোগের প্রধান উপাদান হলো তথ্যের ট্রান্সমিটার, যোগাযোগের চ্যানেল বা মাধ্যম এবং তথ্য গ্রহণকারী।
কমিউনিকেশন সিস্টেম কত প্রকার ও কী কী?
কমিউনিকেশন সিস্টেম ৪ প্রকার। যথা:
১. বায়োলজিক্যাল কমিউনিকেশন (Biological communication)
২. গ্রাফিক্যাল কমিউনিকেশন (Graphical communication)
৩. ওয়েভ কমিউনিকেশন (Wave Communication)
৪. টেলিকমিউনিকেশন (Telecommunication)
বায়োলজিক্যাল কমিউনিকেশন (Biological communication):
বায়োলজিক্যাল কমিউনিকেশন (Biological communication) সিস্টেম বা জৈবিক যোগাযোগ হলো সকল ধরনের কমিউনিকেশন যেখানে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ব্যবহার করে মেসেজ আদান প্রদান করা হয়। যেমনঃ মস্তিস্ক, স্বরযন্ত্র, কান, বাহু, এবং হাত ইত্যাদি।
গ্রাফিক্যাল কমিউনিকেশন (Graphical communication):
সকল ধরনের কমিউনিকেশন যেখানে ছবি ও চিহ্নের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় তাকে গ্রাফিক্যাল কমিউনিকেশন বলে। যেমনঃ ছবি, এনিমেশন, ভিডিও ইত্যাদি।
ওয়েভ কমিউনিকেশন (Wave Communication):
সকল ধরনের কমিউনিকেশন যা মেসেজকে একটি শক্তির উৎস দ্বারা বহন করে প্রকাশ করাকে ওয়েভ কমিউনিকেশন বলে। যেমনঃ বায়ু, পানি, মহাশূন্য ইত্যাদি।
টেলিকমিউনিকেশন (Telecommunication):
টেলিকমিউনিকেশন (Telecommunication) বলতে মূলত বোঝায় প্রযুক্তি ব্যবহার করে যোগাযোগের উদ্দেশ্যে দূরবর্তী কোনো স্থানে সংকেত তথা বার্তা পাঠানো। যেমনঃ টেলিফোন, মোবাইল ফোন, টেলিভিশন, রেডিও ইত্যাদি।