ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) কাকে বলে? ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) এর সুবিধা কি?

ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) কাকে বলে?


ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) হলো জনপ্রিয় কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (Content Management System)। একে সংক্ষেপে সিএমএস (CMS) বলা হয়। এটি মূলত পিএইচপি (PHP) এবং মাইএসকিউএল (MySQL) দ্বারা তৈরি ওপেন সোর্স ব্লগিং সফটওয়্যার (Open Source Blogging Software)।

wordpress-guvenligi

ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা কোনো প্রকার পিএইচপি (PHP), মাইএসকিউএল (MySQL) বা এইচটিএমএল (HTML) জ্ঞান ছাড়াই একটি প্রোফেশনাল মানের ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব।

ইন্টারনেটে থাকা কোটি কোটি ওয়েবসাইট গুলোর ভিতরে ৪০% এর বেশি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) দিয়ে। ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) জনপ্রিয় হওয়ার একটি প্রধান কারন হলো কোডিং ছাড়াই ওয়েবসাইট তৈরি করা।

ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) এর সুবিধা কি?


ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) এর সুবিধা সমূহ:
১. ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) প্যাকেজ সফটওয়্যারটি ফ্রি এবং ওপেন সোর্স হিসাবে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়।
২. ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) এর মাধ্যমে আপনি যেকোনো জায়গা থেকে একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজে কাজ করতে পারবেন।
৩. কোন প্রকার পিএইচপি (PHP), মাইএসকিউএল (MySQL) বা এইচটিএমএল (HTML) কোডিং জ্ঞান ছাড়াই ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরী করা যায়।
৪. বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) কোটি কোটি ইউজার ব্যবহার করে। তাই এর নিরাপত্তা খুবই ভালো এবং এটা হ্যাক হওয়ার সম্ভবনা ৯৮% অসম্ভব।
৫. কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) হবার ফলে যেকোন ডেটা বা তথ্য সহজেই হালনাগাদ (পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন বা বিয়োজন) করা যায়।
৬. ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) ব্যবহার করে ছোট থেকে বড় যে কোন ধরণের ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।
৭. ওয়ার্ডপ্রেসে বিভিন্ন ধরনের প্লাগিন ইন্সটল করে ওয়েবসাইটকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তোলা যায়।
৮. ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) সম্পূর্ণ ভাবে SEO (Search Engine Optimization) বান্ধব অর্থাৎ, এতে SEO এর অনেক কাজ খুব সহজেই করা যায়, এর জন্য খুব বেশি SEO সংক্রান্ত জ্ঞানের প্রয়োজন হয় না।
৯. ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগ পোস্ট ও স্ট্যাটিক সুবিধা আছে। এছাড়া ওয়ার্ডপ্রেসে কমিউনিটি ব্লগ সুবিধা রয়েছে।
১০. সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ওয়ার্ডপ্রেসে পাওয়া যায়, যেমন: social sharing options, responsive website design, SEO Friendly structure, easy customization ইত্যাদি।
১১. ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) ব্যবহার করে তৈরি করা ওয়েবসাইট গুলোর কন্টেন্টগুলো কম অভিজ্ঞতা সম্পন্ন যে কেও খুব সহজেই কাস্টমাইজ করতে পারবে।
১২. ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) এর অনেক ফ্রী থিম এবং প্লাগ-ইন খুব সহজেই পাওয়া যায়।