উচ্চ কপার সমৃদ্ধ খাবার কোনগুলো।

কলিজা:

কলিজা অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। কলিজা কপারের একটি ভালো উৎস। এছাড়া এতে ভিটামিন B12, ভিটামিন A, ফোলেট B9, রাইবোফ্লাভিন B2, আয়রন এবং কোলিন সহ বিভিন্ন ধরণের পুষ্টি উপাদান রয়েছে।

৬৭ গ্রাম কলিজাতে ১০.৩ মিলিগ্রাম কপার সরবরাহ করে। কলিজা গর্ভবতী মহিলাদের এটি এড়ানো উচিত।

ঝিনুক:

ঝিনুকে জিঙ্ক, সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন বি 12 এর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। ঝিনুক কপারের একটি ভাল উৎস।

বাদাম এবং বীজ:

বাদাম এবং বীজে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে। এতে ফাইবার, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বির পাশাপাশি অন্যান্য পুষ্টি রয়েছে। যদিও বিভিন্ন ধরণের বাদাম এবং বীজ বিভিন্ন ধরণের পুষ্টি বহন করে।

অনেক বাদাম এবং বীজের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে কপার থাকে। তাই স্ন্যাক হিসাবে বাদাম এবং বীজ খেতে পারেন।

গলদা চিংড়ি:

গলদা চিংড়ি কপারের একটি ভাল উৎস। গলদা চিংড়িতে চর্বি কম, প্রোটিন বেশি এবং সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন বি 12 সহ বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে। তবে গলদা চিংড়িতে কোলেস্টেরল কিছুটা বেশি।

মাশরুম:

কপার আমাদের শরীরে লাল রক্তকণিকা তৈরি করতে সহায়তা করে, যা সারা শরীর জুড়ে অক্সিজেন সরবরাহ করতে ব্যবহৃত হয়। হাড়ের স্বাস্থ্য, স্নায়ুর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার পাশাপাশি শরীরের অন্যান্য প্রক্রিয়ার জন্যও খনিজটি গুরুত্বপূর্ণ।

রান্না করার পরেও, ১ কাপ মাশরুম প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় কপারের প্রায় এক তৃতীয়াংশ পূরণ করতে পারে।

সবুজ শাক:

সবুজ শাক শাকসবজি আমাদের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। এতে ফাইবার, ভিটামিন “কে”, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফোলেটের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে। সবুজ শাক সবজিতে প্রচুর পরিমাণে কপার থাকে।

ডার্ক চকোলেট:

ডার্ক চকোলেটে কোকো সলিড এবং দুধ ও চিনি থাকে। এছাড়া ডার্ক চকোলেটে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন পুষ্টি রয়েছে।

অন্যান পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি ডার্ক চকোলেটে প্রচুর পরিমাণে কপার থাকে।

সুষম খাদ্যের অংশ হিসাবে ডার্ক চকলেট হার্টের রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। তবে ডার্ক চকোলেট পরিমাণ মতো খেতে হবে।