আমবাত কেন হয়? দূর করার প্রাকৃতিক উপায়।
আমবাত (আর্টিকারিয়া) লাল, চুলকানি ওয়েল্ট যা ত্বকের প্রতিক্রিয়ার ফলে হয়। ত্বকের বিভিন্ন রকম অ্যালার্জির মধ্যে আর্টিকেরিয়া বা আমবাত বেশি দেখা যায়। এতে ত্বক লালচে হয়ে ফুলে ওঠে সঙ্গে চুলকানি ও জ্বালাপোড়া হয়।
তবে আমবাত ছোঁয়াচে নয়। এ ধরনের আমবাত কখনো কখনো শরীরের বাইরে না হয়ে শরীরের ভিতরেও হতে পারে, যেমন- আমাদের ঠোঁটে ও চোখের ভিতরে।
আমবাতের সমস্যা প্রায়শই খাবার বা ওষুধের অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়াস্বরূপ ঘটে থাকে।
দীর্ঘস্থায়ী আমবাতের কারণ স্পষ্ট নয়। দীর্ঘস্থায়ী আমবাত খুব অস্বস্তিকর হতে পারে এবং ঘুম এবং দৈনন্দিন কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারে। আমবাত, যা urticaria নামেও পরিচিত।
অনেক ক্ষেত্রে, আমবাত একটি তীব্র (অস্থায়ী) সমস্যা যা অ্যালার্জির ওষুধ দিয়ে উপশম করা যেতে পারে। আমবাত চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি খুবই কার্যকর।
অনেক কারণে আমবাত হতে পারে তবে অনেক সময় আমবাত হওয়ার প্রকৃত কারণ নির্ধারণ করা যায় না।
জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনি আমবাত থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। এর পাশাপাশি ঘরোয়া কয়েকটি টোটকা মেনে চলতে পারেন। জেনে নিন করণীয়-
- আমবাত দেখা দিলে আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা সেঁক নিতে পারেন। ঠান্ডা সেঁক চুলকানি কমাবে।
- ওটমিল ও বেকিং সোডা মেশানো পানি দিয়ে গোসল করলে স্বস্তি পাবেন।
- অ্যালোভেরার রস আমবাত (hives) দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এজন্য আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরা লাগাতে হবে।
- পারফিউম, সুগন্ধযুক্ত সাবান বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের আগে দুবার ভাবুন।
- আমবাত এড়াতে অত্যধিক ঠান্ডা ও গরম পরিবেশ এড়িয়ে চলুন। এর পাশাপাশি ঢিলেঢালা ও আরামদায়ক পোশাক পরা ব্যবহার করুন।