অ্যালার্জি হয় কোন কোন খাবার থেকে।

অ্যালার্জি হলে চামড়ায় লাল লাল ফুসকুড়ি, চাকা চাকা হয়ে এক এক জায়গা ফুলে যায় সেই সাথে চুলকানিজ্বালাপোড়া। নাক দিয়ে পানি পড়ে। নাক বন্ধ হয়ে যায়। চোখ লাল হয়ে ফুলে ওঠে এবং চোখ দিয়ে পানি পড়ে।

পশম, ধুলোময়লা, মশা, মৌমাছি বা অন্যান্য পোকামাকড়ের কামড় সহজে এড়িয়ে গেলেও খাবারের অ্যালার্জিটা মানুষকে বেশি ভোগায়।

চোখের সামনে এতো সুস্বাদু খাবার লোভও সামলানো যায় না। ডিম, দুধ, মাছ, মাংসে অ্যালার্জি তবুও খেয়ে ফেলছি বেশি পরিমানে। যাইহোক, এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো থেকে অ্যালার্জি হয়। নিচে এমন কয়েকটি খাবার দেওয়া হলো –

চিংড়ি:

খুবই সুস্বাদু মাছ চিংড়ি। এই সুস্বাদু চিংড়ির রয়েছে অনেক উপকারী দিক। কিন্তু উপকারী দিক থাকার সর্তেও অ্যালার্জি যুক্ত লোকেদের জন্য চিংড়ি হতে পারে ভয়ানক।

চিংড়ি খেলে অ্যালার্জি হয় কারণ এতে ট্রপোমোসিন আছে। ট্রপোমোসিন একটি প্রোটিন। তাই যাদের অ্যালার্জি তারা চিংড়ি খাবেন না। কাঁকড়া থেকেও অ্যালার্জি হয়।

গরুর দুধ:

গরুর দুধের অ্যালার্জি প্রায়শই ছোট বাচ্চাদের মধ্যে দেখা যায়। বিশেষ করে ছয় মাস বয়স হওয়ার আগে বাচ্চাকে গরুর দুধ খাওয়ানো শুরু করলে।

এক্ষেত্রে শিশুর ফোলা, ফুসকুড়ি, বমি বমি ভাব এবং বিরল ক্ষেত্রে, অ্যানিফিল্যাক্সিসের মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

ডিম:

ডিম থেকেও অ্যালার্জি হয়ে থাকে বিশেষ করে হাঁসের ডিম থেকে। হাঁসের ডিম খেয়ে এলার্জি অনুভূত হলে খাওয়া বন্ধ করুন।

ডিমের সাদা অংশ থেকে বেশি অ্যালার্জি হয়। ডিমের সাদা অংশ এবং ডিমের কুসুমের প্রোটিনগুলি কিছুটা আলাদা। তাই ডিমে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তারা ডিমের কুসুম খেতে পারেন।

বাদাম:

কাজু বাদাম, চীনাবাদাম, পেস্তা বাদাম, আমন্ড, আখরোট, ব্রাজিল নাট এই ধরনের বাদামে অনেকেরই অ্যালার্জি থাকে। যাদের বাদামে অ্যালার্জি আছে তাদের পিনাট বাটার থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে।

সয়াবিন জাতীয় খাবার:

সাধারণত শিশুদের ক্ষেত্রেই সয়াবিন জাতীয় খাবার থেকে অ্যালার্জি দেখা যায়। সাধারণত অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ১০ বছর বয়সের পর থেকে তা কমে আসে।

ইলিশ মাছ:

ইলিশ” স্বাদে বলুন বা পুষ্টিগুণে-এর কোনো তুলনা হয় না। ইলিশ মাছ নিয়মিত খেলে অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

অ্যালার্জিজনিত সমস্যা হলে খাওয়া বাদ দিন। কয়েকদিন অন্তর অন্তর খেয়ে দেখতে পারেন।

সমগ্র বিশ্বে বেগুন খুবই সমাদৃত এবং এটি প্রায় সারাবছর জুড়ে পাওয়া যায়। আমরা বাঙালিরা বেগুন দিয়ে শত-শত পদ রান্না করে খেয়ে থাকি।

বেগুনি, বেগুন ভর্তা, দই বেগুন, বেগুনের বিরিয়ানি থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাছের সাথে বেগুনের কেমিস্ট্রি।

কিন্তু অ্যালার্জিজনিত লোকেদের কাছে আসলে উল্ট। অ্যালার্জির জন্য দায়ী খাবারের তালিকায় বেগুনের অবস্থান চিংড়ির পরে দেওয়া উচিত। বেগুন খেয়ে এলার্জিগত যে সব সমস্যা হয়ে থাকে সেগুলো হলো : ফুসকুড়ি, চুলকানি, গলা ফোলাভাব, বমি বমি ভাব।

রেফারেন্স: