অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিসেপটিক কাকে বলে? অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিসেপটিক এর মধ্যে পার্থক্য কি?
অ্যান্টিবায়োটিক কাকে বলে?
অ্যান্টিবায়োটিক হলো এমন একটা উপাদান যা ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস থেকে সংগ্রহ করে অন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস কে ধ্বংস জন্য বা তার বংশবৃদ্ধি রোধ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
অন্যভাবে বললে বলা যায়, রোগের সংক্রামণ সারাতে ব্যবহৃত ওষুধকে অ্যান্টিবায়োটিক বলে। ‘অ্যান্টি’ অর্থ ‘বিপক্ষে’ (against) এবং ‘বায়োটিক’ অর্থ ‘জীবন বা প্রাণ’ (life)।
অ্যান্টিবায়োটিক কিছু নির্দিষ্ট ধরনের জীবনের বিরুদ্ধে কাজ করে। অ্যান্টিবায়োটিক তৈরিও হয় ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক কিংবা বড় গাছ থেকে।
অ্যান্টিসেপটিক কাকে বলে?
অ্যান্টিসেপটিক (Antiseptics) হলো সংক্রামক-রোগবীজ নাশক পদার্থ, যা সাধারণত সহজেই ত্বক এবং ক্ষতের উপর ব্যবহার করা যায় ক্ষত পরিষ্কারের উদ্দেশে।
অন্যভাবে বললে বলা যায়, যেসব রাসায়নিক পদার্থ ত্বকের জীবাণুদের ধ্বংস করে বা সেগুলির বৃদ্ধি ব্যাহত করে, যাতে রোগসৃষ্টিকারী জীবাণুর কারণে সৃষ্ট রোগ সংক্রমণ এবং পচন নিবারণ বা প্রতিরোধ করা যায় তাদের অ্যান্টিসেপটিক বলে।
অ্যান্টিসেপটিক দেহের টিস্যুর কোনো ক্ষতি করে না। এ জন্য শরীরের বাইরের কাঁটা, ক্ষত বা ঘা এর জায়গায় ক্রিম হিসেবে লাগানো হয়।
অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিসেপটিক এর মধ্যে পার্থক্য:
অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) | অ্যান্টিসেপটিক (Antiseptics) |
১. অ্যান্টিবায়োটিক হলো বিভিন্ন আণুবীক্ষণিক জীবের তৈরি রাসায়নিক পদার্থ যা শরীরের টিস্যুতে সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে পারে। | ১. অ্যান্টিসেপটিক হলো একটি রাসায়নিক পদার্থ যা অণুজীব রয়েছে এমন রোগগুলিকে হত্যা বা ধ্বংস করার জন্য স্থানীয় প্রয়োগকারী হিসাবে ব্যবহৃত হয়।। |
২. অ্যান্টিবায়োটিক প্রাণীদেহের ভেতরে ব্যবহার করা হয়। | ২. অ্যান্টিসেপটিক প্রাণীদেহের বাইরের আবরণ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যবহার সামগ্রীতে ব্যবহার করা হয়। |
৩. অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। | ৩. অ্যান্টিসেপটিক পানির সাথে মিশিয়ে বা স্প্রে করে ব্যবহার করা হয়। |
৪. সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর জীবাণু ধ্বংসের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। | ৪. সংক্রমণ না হলেও জীবাণু প্রতিরোধের জন্য অ্যান্টিসেপটিক প্রয়োগ করা যায়। |
৫. অ্যান্টিবায়োটিক শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর। | ৫. অ্যান্টিসেপটিক বিস্তৃত অণুজীবের বিরুদ্ধে কার্যকর। |
৬. অ্যান্টিবায়োটিকের কয়েকটি সাধারণ উদাহরণ হল: পেনিসিলিন, কেফ্লেক্স, জিথ্রোম্যাক্স। | ৬. অ্যান্টিসেপটিকের কয়েকটি সাধারণ উদাহরণ হল: হাইড্রোজেন পারক্সাইড, বোরিক অ্যাসিড, ডেটল, স্যাভলন, অ্যালকোহল এবং আয়োডিন। |