শরীরের ফাটা দাগ দূর করার উপায়।

বাড়তি ওজনের কারণে শরীরে স্ট্রেচ বা ফাটা দাগ দেখা যায়। আবার গর্ভধারণ পরবর্তী সময়ে নারীদের তলপেটে এই ধরনের দাগ হয়ে থাকে। শারীরিক ধকল এবং শরীরে পানিশূন্যতার কারণেও হতে পারে এ ধরনের সমস্যা। তাই এ সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে যা মেনে চললে সহজেই এ থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব।

আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক, শরীরের ফাটা দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে-

ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করুন:

ত্বকের শুষ্কতার কারণে ত্বক ফাটে, তাই ত্বককে ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ঘন ঘন ময়েশ্চারাইজার লাগাতে পারেন। ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করার ক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া তেল যেমন – নারকেল তেল, অলিভ অয়েল দিনে দুই থেকে তিনবার ময়েশ্চারাইজার হিসাবে লাগাতে পারেন।

ডিমের সাদা অংশ:

ডিমের সাদা অংশ শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। ডিমের সাদা অংশ শরীরের ফাটা দাগ দূর করতে সহায়তা করে। নিয়মিত ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার ধীরে ধীরে শরীরের ফাটা দাগ দূর হয়।

নারিকেল তেল:

এই তেল ফেটে যাওয়া ত্বককে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে। দিনে দুইবার শরীরের যে স্থানে ফাটা দাগ রয়েছে সেখানে এই তেল মাখাতে হবে। কিছুদিন এভাবে ব্যবহার করলে নিমিষেই শরীরের ফাটা দাগ দূর হয়ে যাবে।

অ্যালোভেরা:

শরীর বা ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা অবদান অপরিসীম। অ্যালোভেরা ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় এবং ক্রমেই হালকা হয়ে যায় ফাটা দাগ। অ্যালোভেরার পাতা থেকে জেল বের করে নিয়ে তাতে ভিটামিন “এ” এবং ভিটামিন “ই” ক্যাপসুলের তেল মিশিয়ে নিতে হবে। ভালোভাবে মিশিয়ে দাগ আক্রান্ত অংশে মাখতে হবে।

চিনি:

১ কাপ চিনির সাথে ১ কাপের এক চতুর্থাংশ আমন্ড অয়েল অথবা নারিকেল তেল মিশিয়ে নিতে হবে। তেল মিশানো হয়ে গেলে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে দাগ স্থানে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। প্রতিসপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন গোসলের আগে মিশ্রণটি মাখতে হবে এবং ৮ থেকে ১০ মিনিট মালিশ করতে হবে।

আলুর রস:

শরীরের ফাটা দাগ দূর করার সহজ উপায় হলো আলুর রস। এর জন্য প্রথমে মাঝারি সাইজের একটা আলু ব্লেন্ড করে রস বের করে নিয়ে এই রসের সঙ্গে ৪-৫ ফোটা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে ফাটা দাগের ওপর হালকাভাবে ম্যাসেজ করুন। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

লেবুর রস:

ত্বকের শুষ্কতা ও শরীরে ফাটা দাগ দূর করতে লেবু অন্যতম সেরা প্রতিকার। এটিতে এন্টিসেপটিক এবং প্রদাহ বিরোধী গুণ রয়েছে এবং এতে রয়েছে ভিটামিন “সি” রয়েছে।লেবুর রসের সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর ফাটা দাগের উপর ব্যবহার করুন ওই মিশ্রণ। ১০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে মশ্চারাইজার লাগান।

অ্যাপেল সিডার ভিনিগার:

শরীরের ফাটা দাগ দূর করতে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খুবই কার্যকরী। একটি পাত্রে ৪ অংশ গরম পানি নিয়ে তাতে এক অংশ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার যোগ করুন। এরপর ২০ মিনিট ধরে ওই পানিতে পা ভিজিয়ে রাখুন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যবহার করুন অ্যাপেল সিডার ভিনিগার।

হলুদ:

শরীরের যেকনো ফাটা দাগ দূর করতে হলুদও কম উপকারী নয়। দই এর সাথে হলুদ মিশিয়ে ফাটা দাগের উপর ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে উপকার পাবেন। প্রতিদিন ওই মিশ্রণ ফাটা দাগের উপর লাগাতে হবে এবং ধুয়ে ফেলতে হবে হালকা গরম পানি দিয়ে। এরপর সেখানে মশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

ধনেপাতার পানি:

পা ফাঁটা দূর করতে ধনেপাতার পানিতে পা ভিজিয়ে রাখুন। ধনেপাতায় ভিটামিন “সি”, কোলাজেন এবং ভিটামিন “কে” রয়েছে যা পায়ের শুস্কতা দূর করতে এবং ফাটা গুড়ালির জন্য অন্যতম সেরা ঘরোয়া প্রতিকার। গরম পানির ভিতরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ধনেপাতা দিয়ে পা ৩০ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখুন।