পার্সিমন ফলের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উপকারিতা।
পার্সিমন অত্যান্ত সুস্বাদু একটি ফল। পার্সিমন গাছ মূলত চীন থেকে এসেছে। পার্সিমন জাপানের একটি জাতীয় ফল। এগুলি সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে পাওয়া যায়।
পার্সিমনের পুষ্টিউপাদান
একটি ১৬৮ -গ্রাম পার্সিমনে রয়েছে:
- ক্যালোরি: ১১৪
- শর্করা: ৩১ গ্রাম
- ফাইবার: ৬ গ্রাম
- ভিটামিন “এ”: ১৫% (DV)
- ভিটামিন “সি”: ১৪% (DV)
- পটাসিয়াম: ৬% (DV)
- ভিটামিন বি 6 (পাইরিডক্সিন): ১০% (DV)
- ম্যাঙ্গানিজ: ২৬% (DV)
এই ফল ক্যালোরিতে কম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। ভিটামিন এবং খনিজ ছাড়াও, পার্সিমন ট্যানিন, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ক্যারোটিনয়েড সহ উদ্ভিদ যৌগ এর উৎস।
পার্সিমন এর উপকারিতা
নিচে পার্সিমন এর উপকারিতা দেওয়া হলো –
চোখের স্বাস্থ্য:
পার্সিমন ভিটামিন “এ” এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা চোখ সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে।
একটি পার্সিমনে ভিটামিন এ-এর প্রস্তাবিত দৈনিক গ্রহণের প্রায় অর্ধেকেরও বেশি থাকে। এছাড়াও, পার্সিমনের খোসায় প্রচুর পরিমাণে লুটেইন রয়েছে, যা চোখের রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
লুটেইন সমৃদ্ধ খাবার বয়স-সম্পর্কিত ম্যাকুলার অবক্ষয় সহ চোখের কিছু রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
হার্টের স্বাস্থ্য:
পার্সিমনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ ধমনী পরিষ্কার রাখতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে পার্সিমনে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মধ্যে রয়েছে কোয়েরসেটিন এবং কেমফেরল। ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ খাবার (LDL) কোলেস্টেরল কমিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সহায়তা করে।
ক্যান্সারের ঝুকি কমায়:
এই ফলে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিনের মতো ক্যারোটিনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। ক্যারোটিনয়েড মূলত উজ্জ্বল রঙের ফল এবং শাকসবজি থেকে পাওয়া একটি রঙ্গক।
ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার, কোলোরেক্টাল ক্যান্সার এবং বিপাকীয় রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।