নখের যত্ন নেওয়ার প্রাকৃতিক উপায়।

ত্বক, চুল, হাত বা পায়ের যত্ন তো আমরা নিয়েই থাকি। কিন্তু নখের যত্ন কখনও নিচ্ছেন কি? শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মত নখের যত্ন নেওয়াও কিন্তু অত্যতন্ত জরুরি। অনেক সময় বাড়ির কাজ করার সময় নখ খারাপ হতে পারে।

নেলপলিশে রাঙানো নখ হোক, মেহেদি রাঙা কিংবা রংবিহীন হোক নখের সুস্থতা মূল বিষয়। নখের যত্ন নিতে হবে সব সময়ই। তাই এই বিষয় গুলি মাথায় রাখার সাথে সাথে আসুন এবার দেখে নিন কিছু ঘরোয়া উপায় যা হাত ও পায়ের নখ ভালো রাখতে সাহায্য করে-

লেবু:

নখের যত্নে লেবু খুবই উপকারী। লেবুতে থাকা ভিটামিন “সি” নখের হলদে ভাব দূর করে নখ উজ্জ্বল করে তোলে। লেবুর রসের সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে একটু হালকা গরম করে তাতে নখ চুবিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া হাত ও পায়ের নখে লেবু দিয়ে হালকা ঘষে পানি দিয়ে ধুয়ে ময়্স্চারাইসার লাগিয়ে নিন।

নারকেল তেল:

নারকেল তেল নখকে ময়্স্চারাইস করে এবং নখের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। নারকেল তেল ও মধু এক সাথে নিয়ে হালকা গরম করে নখে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। এতে ব্লাড সার্কুলেশন স্বাভাবিক থাকে এবং নখ ভালো থাকে।

বায়োটিন:

বায়োটিন নখের জন্য অত্যন্ত জরুরি। তাই বায়োটিন যুক্ত খাবার যেমন- ডিম, শসা, টমেটো, দুধ, আলমন্ড, গাজর, সয়াবিন ইত্যাদি নিয়মিত খাওয়া উচিত।

ডিমের কুসুম ও দুধ:

প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের অভাবে আমাদের নখে নানা ধরনের সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে ডিমের কুসুম ও দুধের মিশ্রন অত্যন্ত কার্যকরী। এই দুটি উপাদান একসাথে মিশিয়ে নখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। পরে হালকা গরম পানি ধুয়ে ফেলুন। এতে নখের হলদে ভাব দূর হবে ও নখ ভালো থাকবে।

পেট্রোলিয়াম জেলি:

রাতে ঘুমোতে যাবার আগে ভালো করে পেট্রোলিয়াম জেলি হাতে ও পায়ের নখে লাগিয়ে নিন। কিছু দিনের মধ্যেই পার্থক্যটা বুঝতে পারবে।

এছাড়া নিয়মিত নখ পরিষ্কার করতে হবে, নখ কাটতে হবে। অতিরিক্ত পানি বা সাবান ব্যবহার করার ফলে আমাদের নখ রুক্ষ হয়ে যায় তাই নিয়মিত নখে ময়্স্চারাইসার লাগানো উচিত।