নকল ওষুধ চেনার উপায়
প্রায় আমাদের সবার কম-বেশি ওষুধের প্রয়োজন হয়ে থাকে। কিন্তু ভেজাল ওষুধ ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশ। এই ভেজাল ওষুধের মধ্যে আসল নকল চেনা খুব কষ্টসাধ্য। অন্যান্য সব জিনিসের মতই ওষুধেও ভেজালের পরিমাণ বাড়ে চলছে।
এমন অনেক মানুষ আছে যাদের নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। আমরা স্থানীয় ওষুধের দোকান থেকে বা অনলাইন থেকে নিয়মিত ওষুধ কিনে থাকি। কিন্তু ওই সব ওষুধ নকল কিনা তা আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না। তাই আমরা যেসব ওষুধ কিনছি সেগুলো আসল নাকি নকল তা চেনা খুব জরুরি।
নকল ওষুধ চেনার সহজ কিছু উপায় রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, নকল ওষুধ চেনার কয়েকটি উপায় রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী নকল ওষুধ চিনে নেওয়ার উপায়গুলি আলোচনা করা হলো:
- সিরাপ, টনিক বা ওই জাতীয় বোতলজাত ওষুধের ক্ষেত্রে বোতলে সিল বা প্যাকেজিং-এ কোথাও ভুল আছে কিনা সেগুলো প্রথমেই ভাল করে দেখে নিতে হবে। কোনও রকম পার্থক্য বা সন্দেহজনক কিছু মনে হলে ওই ওষুধ এড়িয়ে চলুন।
- ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল জাতিয় ওষুধের ক্ষেত্রে কোনো অংশ ভাঙা আছে কিনা, স্বচ্ছ ক্যাপসুলের মধ্যে থাকা গুঁড়োর পরিমাণ আগের থেকে বেশি বা কম আছে কিনা, ওষুধের রঙ্গে কোনো পার্থক্য আছে কিনা ভাল করে দেখতে হবে। এক্ষেত্রেও ওষুধের আকার-আকৃতি, বানান, মোড়কের রং ইত্যাদি ভাল করে জাচাই করতে হবে।
- প্যানাসিয়া ডট লাইভ (www.panacea.live) এই নামে একটি ওয়েবসাইট আছে যেখান থেকে আপনি আপনার ওষুধটি যাচাই করে নিতে পারেন।
- প্যানাসিয়ার আওতার প্রতিষ্ঠানের ওষুধের প্রত্যেকটি পাতায় একটি আলাদা কোড থাকে। কেনার আগে ওষুধের গায়ে থাকা কোডটি ‘২৭৭৭’ নম্বরে এসএমএস করলে প্যানাসিয়ার ডাটাবেইসে থাকা কোডটির সাথে যাচাই হবে। আর তাৎক্ষণিকভাবে একটি এসএমএসে জানিয়ে দেওয়া হবে যে এই ওষুধটি আসল নাকি নকল।
আমরা ওষুধ কেনার সময় এসব দিকে খেয়াল রাখলে সহযেই নকল ওষুধ চিনতে পারবো।