ঘি খেলে ওজন কমে, জেনে নিন ঘি এর উপকারীতা।
ঘি কিভাবে তৈরী হয়?
ঘি হলো তাপ দিয়ে শোধন করা অর্থাৎ পরিশুদ্ধ মাখন। তাপে জল এবং মিল্ক সলিড সম্পূর্ণভাবে দূরীভূত হয়ে মসৃণ, ইউনিক সুঘ্রাণ, তেলের মতো যে অবশিষ্ট পাওয়া যাই সেটাই হলো ঘি। আয়ুর্বেদ প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে থেকে ঘি এর বিভিন্ন উপকারী দিক নিয়ে আলোচনা করে আসছে। ঘি তেল এবং মাখনের পরিবর্তে ব্যবহার করা যাই এবং টোস্ট,কেক,বিস্কুটে ব্যবহার করলে বা মাছ,মাংস,সবজীর সাথে রান্না করলে স্বাদ,গন্ধ,এবং পুষ্টিগুণ বেড়ে যাই।
ঘিতে কি কি পুষ্টিগুণ আছে?
ঘি- তে ভিটামিন “A”,”D”,”E”,”K” বিদ্যমান। ভিটামিন “A ” (হাড়,দাঁত,immune health), ভিটামিন “D “(ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য ), ভিটামিন “E “( চোখ ও ব্রেইন), ভিটামিন “K “(blood clot সারাতে ) সাহায্য করে থাকে।
ঘি এর উপকারীতা:
- খালিপেটে ঘি খেতে পারেন।অল্পবয়সী তরুণ এবং যুবকদের খালিপেটে পরিমাণমতো ঘি খাওয়া ভালো। নিয়মিত ঘি খেলে শরীর ভেতর থেকে শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
- ত্বককে সুন্দর করার জন্য ঘি খেতে হবে। ঘি খেলে ত্বকের নিচে কোলাজেন উৎপাদন বেড়ে যায়। তাই বলা হয়, ত্বকের উজ্বলতা বৃদ্ধি করে ঘি।
- ঘি-তে আছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। নিয়মিত ঘি খেলে শরীরে ওমেগা-৩ এর মাত্রা বাড়তে থাকে। ফলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরোল-এর মাত্রা কামে যায়।
- ঘি -তে fatty acid- বিদ্যমান। এই ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের মেটাবলিজম(metabolism) ফাংশনের উপর যথার্থ ভূমিকা পালন করে । খাদ্য থেকে শক্তি উৎপাদন, শারীরিক বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় উপাদান, টক্সিক উপাদান বের করে দেওয়া ইত্যাদিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়া এই ফ্যাটি এসিড cognitive ফাংশনের উপর অর্থাৎ ব্রেন সেল-এর কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।
- Conjugated linoleic acid (CLA) – ঘিতে পাওয়া যায়। এই অ্যাসিড শরীরের ওজন কমিয়ে থাকে।এছাড়া ব্লাড প্রেসার ও ক্যান্সার সেল-এর বৃদ্ধি কমিয়ে দিতে পারে।
- আয়ুর্বেদিক জগতে ত্বকের প্রদাহ কমাতে এটিকে প্রাকৃতিক ওষুধ হিসাবে (burn,swelling) কমাতে ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যকার Bytaric Acid হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
- Medium chain fatty acid- থাকায় শরীরে জমে থাকা ফ্যাট সেলকে গলাতে সাহায্য করে। Joint-এর সচলতা বাড়িয়ে দেয় এবং হাড়ের সমস্যা কমে যায়।
- সর্বোপরি, আমাদের নার্ভ-এরও উন্নতি করে থাকে। তাই দেখা যাচ্ছে, নিয়মিত অতিরিক্ত নয় পরিমিত ঘি খাওয়া শুরু করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি হাসিখুশি জীবনযাপন করা যায়।
পরিশেষে বলা যায়, উপকারী চর্বি, ওজন কমে যাওয়া, কোলেস্টেরোল কমে যাওয়া, ভালো ঘুম হাসিখুশি জীবনের পূর্বশর্ত। তাই খাবারটি আমাদের খাদ্যতালিকায় রাখা খুবই প্রয়োজনীয়।