কোন খাবার গুলি অনেক আমিষ সমৃদ্ধ?
মানুষের শরীরের পরিপূর্ণ বৃদ্ধি ও শরীর নামক এ যন্ত্রকে সঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্য আমিষ খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। আমিষকে তাই ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
অতিরিক্ত আমিষ গ্রহণ কি ভালো?
মানবপেশীর গঠনের জন্য এটি দরকারী হলেও এটির পরিমিত গ্রহনের দিকটাও বিবেচনা করতে হবে। অতিরিক্ত আমিষ গ্রহণ লিভার এবং কিডনির কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
প্রাণীজ আমিষে কি ক্যান্সারের ঝুঁকি আছে?
প্রাণীজ আমিষ যা রেড মিট হিসাবে পরিচিত যেমন গরুর মাংস, খাসির মাংস, শুকরের, মহিষের, উঠের এবং দুম্বার মাংস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
অনেকরকম খাবার থেকে আমরা আমিষ গ্রহণ করে থাকি। প্রাণীজ আমিষ ছাড়াও শাকসবজি, ফলমূল থেকেও আমরা আমিষ গ্রহণ করতে পারি।
নিম্নে অধিক আমিষ সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা দেওয়া হইলো:
আমিষ সমৃদ্ধ খাবার:
- মুরগীর মাংস
- মাছ (সামুদ্রিক মাছ টুনা, কড, ফিলেট অফ স্যামন, শ্রিম্প -এ আমিষ এর পরিমান বেশি থাকে।)
- গরুর মাংস
- ডাল( সকল প্রকারের ডাল- ছোলা, মুগ, মটর, মুশুরি ইত্যাদি।)
- দুধ
- দই
- পনির
- বীজ ( কুমড়োর বিচি, তিল, বাদাম, আলমন্ড, কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম )
- ডিম
- শিম জাতীয় সকল সবজি
- ব্রোকলি
- সোয়াবেন বড়ি ও সোয়ামিল্ক (অন্যান্য দেশে টোফু নামে পরিচিত)
কোন বয়সে কি পরিমাণ আমিষ খাওয়া উচিত:
- ছোট বাচ্চাদের জন্য দিনে ১০ গ্রাম আমিষ।
- স্কুল পড়ুয়া বাচ্চাদের জন্য দিনে ১৯ – ৩৪ গ্রাম
- টিনএজ ছেলেদের জন্য দিনে ৫২ গ্রাম আমিষ
- টিনএজ মেয়েদের জন্য দিনে ৪৬ গ্রাম আমিষ
- পূর্ণবয়স্ক পুরুষের জন্য দিনে ৫৬ গ্রাম আমিষ
- পূর্ণবয়স্ক মহিলাদের জন্য দিনে ৪৬ গ্রাম আমিষ
- প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলা যদি প্রেগন্যান্ট হয় বা বাচ্চা বুকের দুধ খায় তাহলে দিনে ৭১ গ্রাম আমিষ।