সকলের মেমোরিতে শৈশবের যে দিনগুলো আলাদা জায়গা করে নেয় সেটি হলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার দিনগুলো।
আহা কি মধুর শৈশব। খেলাধুলা ও অনুশাসনের দূরন্ত এক শৈশব। শৈশব উপভোগ করতে করতেই সকলকে যেতে হয় পাঠশালায়। এই পাঠশালায় হলো আমাদের ছাত্রজীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।
আমার সেই জন্মমাটি। আমার সেই নাড়ির সম্পর্ক প্রিয় গ্রামের অত্যন্ত্য মনোরম পরিবেশে আমার প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অবস্থিত। কি অপূর্ব মায়াময় ছায়া ঢাকা, পাখি ডাকা, সবুজ শ্যামলে ঘেরা একটা স্কুলজীবনের স্মৃতি যেটা আমার সমস্ত শরীর জুড়ে এখনো মিশে আছে।
সবাই ছোটবেলায় ফিরে যেতে চায়। আবার যদি ফিরে পেতাম শৈশবের সেই মধুর দিনগুলো। শৈশবের স্মৃতির মধ্যে বড় অংশজুড়ে সবার মেমোরিতে জায়গা করে নেয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সেই মধুর দিনগুলো।
জীবন চলার পরিক্রমায় জীবনের এই পর্যায়ে সংসারের বোঝা অর্থাৎ নিজের কাজের চাপ, সন্তানদের লালন-পালনের চাপ- এর থেকে হাজার গুণ হালকা ছিলো স্কুলের ওই ব্যাগের বোঝা। তাইতো মনে হয় ওই ব্যাগ নিয়ে আবার যেতে পারতাম স্কুলে। আবার স্কুলমাঠে ধূলি কাদা মেখে খেলাধুলা করতে পারতাম।
হাজার টাকার খাবারের থেকেও তৃপ্তি ছিলো স্কুলগেটের খাবার। যদি ফিরে পেতাম। যদি ফিরে যেতে পারতাম। আহারে সেই মধুর দিনগুলো। যতই কাঁদি না কেনো আর ফিরে পাবো না স্কুলের সেই দিনগুলো।