কাঁচা মরিচ তাজা রাখার উপায়।
পান্তা ভাতে কিংবা গরম-গরম ভাজা মাছে অথবা আলু ভাতে কাঁচা মরিচে কামড় দিয়ে ঝালে লাল হওয়ার মজাই আলাদা।
অবিশ্বাস্য, যাদুকরী স্বাদ, গন্ধ ও ঝাঁঝের এই কাঁচা মরিচ মুখে নিয়ে একটা কামড় দিলেই মুখের স্বাদগ্রন্থিগুলো এমনভাবে আন্দোলিত হয় যেটা অন্য খাবারে হয় না।
কাঁচা মরিচে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন “সি” যা শরীরের জন্য একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
কাঁচা মরিচ আমাদের শরীরের কোলাজেন এবং প্রোটিন উদ্দীপিত করতে পারে। রক্তে, টিস্যু, ত্বক এবং হাড়ের জন্য কোলাজেন প্রয়োজন।
আধা কাপ পরিমাণ কুচি কাঁচা মরিচে প্রায় ৮০০ ইউনিটের বেশি ভিটামিন “এ” রয়েছে। ভিটামিন “এ” দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
এছাড়াও এতে ভিটামিন “কে” এবং ক্যাপসেইসিন নামের একটি উপাদান রয়েছে।
ক্যাপসেইসিন বাতের ব্যথা ও ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই কাঁচা মরিচে কেবল ঝালই নেই, আছে নানা উপকারও।
বাজার থেকে মরিচ কিনে আনার ৩-৪ দিনের মধ্যেই মরিচ পঁচতে শুরু করে।
তাই কাঁচা মরিচ দীর্ঘদিন ভালো রাখার অনেক সমস্যা। ফ্রিজে রাখলে সাময়িক তাজা থাকলেও একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে নষ্ট হয়ে যায়।
তবে কাঁচা মরিচ দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে রাখার কয়েকটি পদ্ধতি আছে। চলুন জেনে নিই, সেগুলো কি কি-
মরিচের বোঁটা ছিঁড়ে রাখুন:
মরিচের বোঁটা ছিঁড়ে এয়ারটাইট কোনো বক্সে কাঁচা মরিচ রাখতে হবে। রাখার আগে পাত্রের একটি শুকনা কাপড় দিয়ে নিন।
এতে সহজে মরিচ পচে যাবে না। এছাড়া পলিথিনে মুখ আটকে রাখতে পারেন।
মরিচ ধোয়া যাবে না:
ফ্রিজে মরিচ রাখার জন্য মরিচ ধোঁয়া যাবে না। শুকনা অবস্থায় ফ্রিজে রাখতে হবে।
এমনকি মরিচগুলোর সঙ্গে যদি কোন পঁচা মরিচ থেকে থাকে তাহলে সেটি সরিয়ে ফেলতে হবে।
জিপার লক:
পচে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই অল্প করে কাঁচা মরিচ কেনেন। এক সপ্তাহ পর্যন্ত মরিচ সংরক্ষণ করতে চাইলে, জিপ লক ব্যাগেও মরিচ রাখতে পারেন।
মরিচ রাখার আগে বোঁটা ছাড়িয়ে জিপার লক ব্যাগে করে ফ্রিজে ভরে রাখতে হবে। এভাবে সংরক্ষণ করলে কাঁচা মরিচ এক সপ্তাহের বেশি সতেজ থাকে।
অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল:
মরিচ সংরক্ষণ করতে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়িয়ে ফ্রিজে রাখতে পারেন। একটি প্লেটে কাঁচা মরিচ নিয়ে পুরো প্লেট ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে ফ্রিজে রাখুন।