গাধার গায়ে সিংহের চামড়া। গল্প।
এক বনে সিংহের শাসন যেন বেড়েই চলছিল। বাকি পশুপাখি যেন একটু দমও ফেলতে পারে না। তাই বন ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ভাবছিল এক গাধা। সে ভাবল, বন ছেড়ে লোকালয়ে যাবে।
এভাবে ভয়ে থাকার চেয়ে মানুষের কাজ করা ভালো। কাজের বিনিময়ে খাবার তো দেবে। তাহলে আর না খেয়ে থাকতে হবে না। যেমন ভাবনা তেমনই কাজ।
এক নদীর ধার দিয়ে সে হেঁটে চলছে লোকালয়ের পথে। হাঁটতে হাঁটতে লোকালয়ের খুব কাছে চলে এসেছে গাধাটা। হঠাৎ সে দেখতে পেল একটা সিংহের চামড়া পড়ে আছে। কোনো শিকারি হয়তো ফেলে গেছে।
গাধা তো মহা খুশি। সে ভাবল, সৃষ্টিকর্তা তার দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছে। এখন আর বন ছেড়ে যেতে তো হবেই না, আবার রাজার মতো থাকতে পারবে বনেই। তাই সে লোকালয়ে চিন্তার পুরোপুরি মাথা থেকে ঝেড়ে দিল।
সিংহের চামড়াটা গায়ে পরে নিল আর ভান করতে লাগল সে পশুরাজ সিংহ। বনের সব পশুপাখি তাকে সিংহ ভেবে ভয় পেতে লাগল। গাধা নিজেকে নিয়ে খুব গর্ব করতে থাকলো। সে নিজেকে সত্যিকার বনের রাজা ভাবতে লাগলো।
খুশিতে সে যেই না নিজের মুখ খুলেছে, অমনি মুখ থেকে বেরিয়ে এলো গাধার ডাক। ঠিক সে সময় সেদিক দিয়ে যাচ্ছিল এক শেয়াল। গাধা শেয়ালকেও ভয় দেখানোর চেষ্টা করল। কিন্তু শেয়াল হাসতে হাসতে বলল, “বন্ধু তোমার গলার আওয়াজেই তোমাকে চিনতে পেরেছি। নইলে কখন ভয়ে পালাতাম।”
উপদেশ: পরিচ্ছদ কারও আসল পরিচয় নয়।